Sunday, June 18, 2006

দিগন্তের সঙ্গে দেখা


প্রিয় পাঠিকা,

তুমি কি আমার জন্যে, নদী, আজ শহরে ঢুকেছো ?

…যতিচিহ্ন ভরা আকাশে কবি হয়ে উঠতে কার না সাধ জাগে, তবু কিছু স্বর্ণলতায় ভরসা রেখে গদ্যের তাঁবুতে ঢুকে পড়ি ৷ অবান্তর পত্রগুচ্ছে ঢেকে রাখি এ যাবত দেখা, শরশয্যায় শুয়ে থাকেন প্রপিতামহ, ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে যায় পত্রগুচ্ছ, গঙ্গার চরে শুয়ে কাটিয়ে দেওয়া রাত কোন কবিতার জন্ম দেয় না…
হে আলেখ্য, অপচয় চিরকাল পৃথিবীতে আছে;
এই যে অমেয় জল -- মেঘে মেঘে অনুভূত জল--
এর কতটুকু আর ফসলের দেহে আসে বলো ?
ফসলের ঋতুতেও অধিকাংশ শুষে নেয় মাটি ৷
তবু কী আশ্চর্য দেখো উপবিষ্ঠ মশা উড়ে গেলে
তার এই উড়ে যাওয়া ঈষত্ সংগীতময় হয় ৷
( বিনয় মজুমঅদার )

…আমি যেন ষ্টকারের মত দেখি সামনে রাখা টেবিলে সরে সরে জাচ্ছে বোতল খানা, অদ্ভুত, আমি দেখি, কখোনো ডামাডোলে নিজেকে প্রতিপন্ন করি ম্যাজিশিয়ান হিসাবে, দৃশ্যেরা চলে যায় দৃশ্যের গভীরে, অটোর মধ্যে তার প্রেমিকের সাথে মোবাইল নারী প্রিয় হয়ে পড়েন অচম্বিতে , গন্তব্য ছড়িয়ে চলে যাই, হোঁচোট খাই বাড়ী ফেরার পাথে, যেন অহল্যা মুক্তি পায়…

কেননা বুকের মধ্যে আমি বুক
ক্ষীণ কটিজবরদস্ত পাছার মতন
রেখে সাংগীতিকসাংঘাতিক ফলানো
ফসল ফেলে ছুটে গেছি জেব্রা দৌড়
জীব্রাল্টার প্রণালীর অন্যকোনো নালী
বেয়ে সেই পিয়ালী নদীর গাড়
গভীর তরল রব শুনে তাই
পুর্বার আসা অসম্ভব ৷
( তুষার রায়)

… একদা রজনী প্রাতে শব্দেরা ছড়িয়ে যায় আমার অংক বইএর মধ্যে, সে অক্ষর খালাসিটোলায় অক্ষর-বৃষ্টির মতো, আমির খা ডাক পাঠাচ্ছেন ঘনঘন বেতারে, সন্ধ্যা চূর্ণ দিয়ে সাজাচ্ছি দেবী প্রতিমা, কুমু সব এলোমেলো করে দিচ্ছে, পুণে ছাড়িয়ে পাষাণ, সেই দ্বীপ, কুমু জগদ্ধাত্রী হয়ে যায়…
সন্ধ্যা আরও নি:স্ব হয়,
অবিবৃত জলে সারি সারি
দীর্ঘ আলোবিস্তৃত উজ্জ্বল
ভাবে ডুবছে ক্রমশ,
আমি এ জীবণ থেকে
সরে যাব,হাত রাখো
আমার মাথায়,আমাকে
তোমার কাছে ডেকে নাও,
ছায়াবৃত অন্ধকারে অশব্দ
ঢেউয়ের মতো ভেঙ্গে
ফেলো এই সন্ধ্যাবেলা ৷
( দেবারতি মিত্র )

… অর্জিত দৃশ্যাবলী সাজাতে সাজাতে চলচ্চিত্রে প্রবেশ করি, তবু নদী তীর, জলে ঝাঁপিয়ে পড়া ব্যঙ, হারষ্টেনের অংক বই তুলে রাখি আলাদা করে, অসাবধানে জীবনানন্দ পড়ে যায় জলে, মাছেদের খেলা তার সাথে আজ, উল্টে যায় বইএর পাতা একে একে, লিখতে হাত কাঁপে কিম্বা লন্ঠনের আলো, হাত বুলাই ব্রেইলের বর্ণপরিচয়ে…

অঙ্গুষ্ঠপ্রমাণ আত্মা ঢেকে নিয়ে হাতের তালুতে
নেমে যাই খাদের ওপারে সৌধ, গম্বুজ নিশান,
হাসাহাসি ৷ আঁধার সুড়ঙ্গ জিড়ে দেহ শেষ,
বর্জিত উদ্ভিদ এখানে আমার কাজ খননের অপসারনের ৷
তেতে উঠি মনস্কামনায়কী সর্বস্ব চিল বা ওপরে,
আলোমালা ! বোতাম সদৃশ এক রতি আত্মপ্রতিকৃতিতাকে
দেখি অবসরে - আর কতদিন ?
নি:শব্দ দোলনে ঢেউ কাঁপে তির তির তিরতির
ছলনদীঅন্ধকারে ভেসে যায় উড়িধান , ঘাস ৷
ভেজা ত্বকে সেঁটে থাক এক রাতি পাথরবোতাম
ফাটুক চাঙড় শুকনো আঁশের পোশাকে
আমি ফাটি মনস্কামনায় ৷
( বিজয়া মুখোপাধ্যায় )

… একদিন জে এন ইউ তে অমিতের ডিপ্লোমা দেখে ইচ্ছা করে সমস্ত চামড়া ছিঁড়ে বিভীষণ হয়ে উঠতে, শংখ বাজে, পদ্ম পাড়ে পুস্করে, দয়িনীতা সামাল দেয় কোনোরকমে, এই আলটপকা মাধ্যমে আর ফাত্না ডোবে না, কেবল অপচয়, হয় না…
পৃথিবীতে যত সরু গলি আছে
এ- বছর দেখা শেষ হবে
কখনো বিকেলবেলা সন্ধেবেলাবন্ধুদের
মত সব বন্ধুদের মুখ মনে পড়ে
ভেতরে শরীর নেই কার জামা
কার জামা ঝুলছে বারান্দায়
ডাক্তারখানায় আজ ভদ্র এক মহিলার চোখে জল
আর নয়া মোটোরবাইকের
ব্রেক ঠিক আছে কিনা দেখে নিচ্ছে
এক তরুণ ( কোথায় যে যাবে )
দিগন্তের সঙ্গে প্রিয় আজো দেখা হলো না আমার
( ভাস্কর চক্রবর্তী)

সুমেরু

প্রিয় পাঠিকা 0.04


প্রিয় পাঠিকা,

... এই দূর জোত্স্নার আলোকিত রাস্তাঘাট,হলুদ চাঁদের আলো,বাঁধাকপি জিরি জিরি করে কেটে এই বার শুরু হবে মোমোর উপাখ্যান, এই পথে বহুদিন ঘুরে গেছেন অমিয়ভূষণ,প্রিয় ছবিটি, রাশভারী, মিলিটারি, বুট-বুট আওয়াজ, আমরা গুটি-সুটি মারা বিড়ালছানারা ফায়ার প্লেস খুঁজি...

... নিচে দিয়ে নাও , ই- টিভি বোর্ড, আমাদের বিজন লোক তুলতে থাকে গাড়ির পেছেনে, গাড়ির পেছনটা লেডিজ স্পেশাল হয়ে যায় নিমেষে,রাস্তার দুধারে হলুদ সর্ষের ক্ষেত, যেন প্লাবিত হয়েছে সব, বন্যায়, মনে পড়ে , পালামৌএর কথা, পুটুস, হলুদ পুটুসে ছেয়ে গেছে চারপাশ, Riদ্ধি-সিদ্ধি-রা সব বিদ্যার দেবী হয়ে গেলেন, ম্যাজিক,আমি ডানা মেলে দি, ইচ্ছেডানার পরশপাথর বা...

... ঘড়িয়াল সংকল্পে রসিকবিল, ও সে গাড়ির পেছনটা যে লেডিস স্পেশাল হয়ে গেল তার কথা তো বল্লম ই না, কি বা বলি আমি, এই আয়তক্ষেত্র ও বর্গক্ষেত্রে, পাল্লা দিতে গিয়ে আনন্দবাজার এখানে এক টাকায়, কারুর কারুর তাতে ঘুম ভালো হয়, রাসমেলার মাঠে কাজ চলছে, যেন পুজোর আগের কুমোরটুলি, আমার অবশ্য...

... মানুষকে চমকাও , যতক্ষণ না সে ও তোমায় কামড়ে দেয়, দন্দ্ব অহর্নিশ,চালশা যাওয়ার ইচ্ছে ছিল, মানিক মুখার্জিদের গাছ বাড়ি, মোটরবাইকে Riতুপর্ণার উড়ে চলে যাওয়া, ফালাকাটা যাও তুমি, ফুলবাড়ি যাও, টেলিফোনে চাপান-উত্তর, দিন কেটে যায়, কাজেরা সাজানো গাছ হয়ে ওঠে না, একবুক কুয়াশায় দাঁড়িয়ে থাকা দায়...

সুমেরু

কুচবিহারের চিঠি




রাজকন্যা কি কম পড়িয়াছে? রাজবাড়ি দেখলেই রাজকন্যা রাজকন্যা করে ওঠে মন, মুখের চেহারা ফ্যাটফ্যাটে আকাশের মত হয়ে যায়, দেশে বুঝিবা আর রাজকন্যা নই৷ কুচবিহার রাজবাড়ি এখন প্রত্নতত্ত্বশালা৷ শুনতে পেলাম, রানী একজন আছেন বটে, রাজকন্যা নাই৷ মস্ত কাঠের জানলা দিয়ে টুথপেষ্টের প্যাকেটের মত ইতস্তত পড়ে থাকা বাসেরা সমবেত কন্ঠস্বরে ডাকাডাকি করে৷ কদাচ রাজকন্যাগন ঝিলিক মারেন বাসের জানালায়৷ তবে কি রাজকন্যা ছুটে বেড়াচ্ছেন শিরায় শিরায়৷ বক্সিরহাট আলিপুরদুয়ার এমনকি জোড়হাট৷ আঁট উইকেটে সাড়ে তিনশ রান, কাচে মোড়া ক্ষনিক আবাস, মাছি ভনবনে শব্দে প্রচার চলছে রক্তদান শিবিরের৷ বারবার ঘোষনায় প্রলুদ্ধ করার চেষ্টা সংগে দেশাত্ববোধক গান,আহারে, রক্তে রক্তে ভেসে যাবে দেশ? রাজকন্যা মুচকি হাসিয়া অপসৃত হন৷ ...



রাজকন্যা কোথায় আছ তুমি? দীঘি, দীঘল শহর রোদ্রে কতিপয় সাইকেলে উড়ে উড়ে যাও? কলেজ? তোর্সা, রাস্তায় রাস্তয় বর্গক্ষেত্রে বর্গক্ষেত্রে৷ এ নাকি মেয়েদের শাড়ীর পাড়ের মত কুচানো এক শহর৷ কুচবিহার৷ যেন কাচের শোকেসে বরফি সাজানো আছে, রূপালী শীতল ফ্রেমে৷ রাজকন্যা তুমি যে রাস্তায়ই যাও, কাটাকুটি কাটাকুটি, ট্রাম-তার ট্রাম-তার ৷ কর্ণেল জেনকিন্স রুলটানা খাতায়, না না, ছোটদের অংকের ছকটানা খাতায়, ঐ ওর পাতা ছিড়ে ধরিয়ে দিলেন মহারাজা নৃপেন্দ্রনারায়ণের হাতে৷ কুচবিহার,কুচবিহার৷

কোথায় লুকিয়ে রাজকন্যা? পাতালদীঘি? মিহি হয়ে আছ ছড়িয়ে৷ রাজমাতা দীঘি, বৈরাগী দীঘি, সাগরদীঘি, নরসিংহ দীঘি, ডাঙ্গরা দীঘি৷ লুকাও বাবা লুকিয়ে থাক৷ তুমি আছ এটাই বেশ৷ তালগাছটির মত, বা পেছনের তিনটি পুকুরে৷ আপাতত রসিক বিলের দিকে, তার আগে খেয়ে নিতে হবে৷ ...

সুমেরু

প্রিয় পাঠিকা 0.03


প্রিয় পাঠিকা,

কেবল দোয়াত ভাঙে,শব্দের কফিনে শুয়ে থাকো...সারা পৃথিবী জুড়ে বর্ণমালা জুড়ে-জুড়ে-জুড়ে তৈরি হচ্ছে রাজপথ, ছিটে যাওয়া র ংছুটে যাওয়া কালি পেতে দিচ্ছে স্বপ্নের ফরাস-শয্যা, আমার কি ঘুম পাচ্ছে ভীষণ?...

- বাঁচতে চাই
-বুনতে চাই

... জল তোলো কপিকলে, শব্দে যেন খুলে দিচ্ছ চুল, কাঁটাতার জড়িয়ে যায় স্বরে,কেবল চাওয়া, কেবল, চল্লিশ ওয়াটের বাল্ব দুলে উঠলে মেঝেও কি দুলে ওঠে, কিম্বা বুকে চমকে ওঠে অহরহ বিদ্যুত্...

-সহজ নয়
-অসম্ভব

... লাল ফুলে সব সার সার অনারসের গাছ, এই উঠছে দুলে,ছোট্ট দ্বীপে নৌকা এসে ঠেকে, নৌকা ভরে আছে মরশুমী ফুলে,হালকা হলুদ বর্ণের নাম না জানা সভাকবি পাখিরা চাঁদোয়া টানায়,কি সব নক্সা, ছেড়ে যাওয়া কি এতই সোজা, আসলে প্রতিটা স্বপ্নই এত মায়াময় পরিশ্রমে গড়ে তোলা,ধরা যাক রাসযাষনারদিন, পুর্ণিমা কিনা, তবুও তর্ক থাকে, কত কিছু রয়ে যায়, মত্স্যকন্যা হটাত্ আমায় ছেড়ে দৌড় লাগায়, আমি দেখি সিনেমা এল, কি সাবজেক্টিভ টাইম? এই যেমন মণি কাউলের সিদ্ধেশ্বরীর কথা মনে আসে...

-চুপচাপ
-অসহ্য

... মনে পড়ে, পড়ে রে,উল্কা কেন ? বেমক্কা কিছু চাওয়া? নিজের হাত কে বিশ্বাস করি না কখনো,মারাদোনাও করতেন না, ডেকালগের 3/4 সেই দোয়াত গেল ভেঙে,ম্যাজিক থাকুক, জানি এই ভাবে কিছু ভাঙে না, ভাঙতে পারে না, পাহাড়ি ঝরনা তুমি গড়িয়ে পড়, পাহাড়ে পাহাড়ে প্রতিধ্বনীত হও নীতা,সব রয়ে যায় , ফিরে ফিরে আসে, এখন সে নদী, বইছে সমতলে...

-দিন
-রাত

... এই প্রলাপে শব্দ যদিও বা রাজী ছিল আমার সাথে পথ চলতে কিন্তু আঙ্গুল সরে না, টাইপে গতিও আছে, যেন কিছু হাউই ছুটে যাচ্ছে, তাকে আরো কিছু শ্রদ্ধা জানাতে, সব উত্সব শেষে,কিছু তরতাজা ফুল তার জন্যে কিনে রাখা দরাকার, সাথে আছি এটা জানানোর জন্যে নয়, প্রথম রাষিন ও তত্সহ সকাল ফিরে চাইতে, চাই রোজ...অনন্ত দিনে ও রাtreeতে...

সুমেরু

ভি-crowমে আসিতেছে


... ভি, র ভি, ও ভি, নজরুল ইসলাম সরণি, কে বল্ল রাজারহাট, যাবে না কি রাজাবাজার, রাজা যায় বাজা তোরা,আগুণ জ্বলছে, লিখছে, এই বেশ, শিক কাবাব, শুয়োরগুলি হেঁটে বেড়ায়...কচি শুয়োর, বুনো শুয়োর, হেব্বি শুয়োর, দিব্বি শুয়োর, শুয়ে বসে, ট্রামে বাসে, ভি এল কলকাত্তায়, এ ভি ও ভি, হেভি টেভি, কভি কভি, L O কলকাতায়, না ভাট, কাট কাট, কাঠ কাঠ, বোতল খোল, বরফ তোল, ও কাকিমা, পেন্নাম হই, হই হই, ফুটছে খই, ফুল ফুটেছে, কদমতলায় কে, সোনামণির বে, হেইও সামাল খাচ্ছে মাল, বাপের কাছে, ভিপি টাল, খাসনা যেন, আঁধার রাতে, রাহার সাথে, ব্যাথার কথা, বার্ণল হাতে, যা:হ চলে, পরী পারীতে, তোর বাড়িতে, করছি ফোন, বাজছে যখন, বাজুক ঢাক, ভি-য়েন বসুক, ভি-জে থাক, টপাস টপাস, রসগোল্লা, ধপাস ধাই,শশুর মশাই, এই সেরেছে, ভি-এর তোড়, বিয়ের জোড়, কাঁপা কাঁপি, বিয়ে-ড়শর, টাওয়ার বসা, রোশনচৌকি, R্ত্বিক রওশন, আসুন বসুন, ডাব লিন, কল-কাঁথা, মাথা ব্যাথা, সারিডন, ডন বৈঠক, বৈঠকখানা, আড্ডা দিস...

তোকে দিলাম, হাওড়া ব্রীজ ,নিবি?

তোকে দিলাম, হায়াবাদ, রুম পার্টনার, না-হোমো, সিদ্ধি ভাm , charminar, নিবি?

তোকে দিলাম ...
আকাশ পাতাল৷ ঘাসফুল৷ নেপোলিয়ানের ছেলেবেলার খুলি৷ বরফ ব্র্যান্ডি৷ অরুণ বরুণ কিরনমালা৷ লালকমল নীল কমল৷ ব্যাঙ্গমা ব্যাঙ্গমী৷ অন চৌধুরী স্বপন সাহা৷ বাংলা বয়েজ জেমস জয়েস৷ পিরানডেল্লা কাঁচাগোল্লা৷তবু, ফুলের ঘায়ে মুর্ছা যাবি? তবু, খাবি?
তবু, খাবি-খাবি?

মন মাতাল আজ সকাল৷

--- এ তো দেখছি বাংলায় কথা বলে
--- আরেকটু খাব
--- আমি কিন্তু বাজে ছেলে
--- যে রাতে মোর দুয়ারগুলি
---
---
---
---( কান্না)
---
---
---
(উধাও)


crowমে crowমে ভি আসিতেছে
V
রাস্তা দু ভাগ
V
গলা৷
V
crowমানুসারে crowমবর্ধমান৷
ভি-শেষ ভাবে, শেষে ধারাভি,না: আর সিনেমা নয়৷

শোনা কথা-
পাঁচ বন্ধু ( তিনটে ছেলে, একটা মেয়ে, একটা ট) পাঁচ বোতল মদ খেয়ে ঠিক করল মেঘে ঢাকা অ-তারা দেখবে৷ ইউরোপে বসে Riwত্বিক ঘটক৷ যদি শুনতে শুনতে আমি ভেবেছিলাম হাতে করে মেঘ সরিয়ে তারাই দেখবে সে৷ না: সিনেমাতেই ফিরতে হল৷ আস্ত একটা সিনেমা হল চাই তাদের৷ ভাড়া নিয়ে দেখা হল মেঘে ঢাকা তারা৷ আকুলি বিকুলি৷ ফেবিকুইক৷ হাল রাবণে কোনcrowমে ঠাঁইয়ে ঠাঁই গুঁজে দিল৷ আবার পাঁচ বোতল মদ আরেকটা সিনেমা৷ এবারে আর কান্নাকাটি নয়৷ আবার হল ভাড়া৷

গুম গুম গুম গুম গুম৷ পাঁচবর দেখা শেষ হলে আর কথাটি নয়৷ পানচজন পাঁচ পথে৷ সেই থেকে সারা ইউরোপে সেই দিনটাকে বড়দিন বলে ধরা হয়৷ ক্যালেন্ডারে লালছোপ৷ বোতলে ভরলে শেরি মদ৷ হিরো আবার হে-ভি, র‌্

Saturday, June 17, 2006

প্রিয় পাঠিকা 0.02


প্রিয় পাঠিকা,

এখনও মাথার ভেতর তীব্র চিত্কার...


জু জু জুম জুম জুম...


... এই ভাবে তীব্র মাথা ব্যথা, যেন প্রতি বৃক্ষমূলে, কিছু যকৃত্ ও অলিন্দ-নিলয় সমূহ,জেগে ওঠ তোপধ্বনী, অখন্ড চরাচর,বাহুমূল টেনে ধরুণ শোকবিহ্বল লতা, মূষনাশয় সর্বদা অলীক ফোয়ারা, কোন সে মহান শিল্পী, শেষ মালগাড়ি তার জরাকীর্ণ দেহ টেনে টেনে টেনে চলে গেলে কুয়াশা তিমিরে, জেগে ওঠো, আরঙ্গজেব , মাথা তুলে দাঁড়াও পার্থেনিয়াম সেনানীগুচ্ছ, তীব্র যন্ত্রণা সহ...


ঐ দূরে বড়ফ পাহাড় রামধনু, গোড়ালি উঁচিয়ে পড় পরীক্ষার ফল, এই ঘাস ঢেকে যাবে সান্তরার কোমল আলোয়,ন্যাশনাল জিয়োগ্রাফিকে ছাপা হবে, তাই যাদি প্রজাপতি হয়ে ওঠো সমস্ত উপত্যকা, পুকুরের তলা থেকে কুড়িয়ে আনা কেশরগুচ্ছ বেটে নাও,কলাপাতা মৃদু-মৃদু দোলে, আলফ্রেড হিচকক টুপি করে নিয়ে আসে একঝাঁক গঙ্গাফড়ি ...


... ংমজায় মজায় বেড়ে উঠছেন রবার্ট বেল, তার দস্তানা জুড়ে কিউব, সুবর্ণগোলক, ইলিপসয়েড, শীতের মেলার মাঠ সাবানের ফেনাগুলো অর্ধমৃত, কুঁয়াশা কুঁয়াশায় আলতো ঠোঁটে ঘুম পাড়িয়ে দিচ্ছে চাঁদ ও সউদাগর, কলম খুললেই ঘন দারুচিনি জঙ্গল,নিশীথ রাষিন কেবল তোমাকে বলবে যন্ত্রনার কথা, থেমে থাকো পাখাগুলি, রেগুলেটারের কোন ব্যবস্থা নেই, অন্তত এই শীতল প্রবাহে, শিক্ষা শিক্ষা শেষে যখন সম্বল কতিপয় গ্রীটিংস কার্ড, চুপসে যাওয়া স্কেচপেন কালি, তেলচিটে হয়ে যায় কেবল দেওয়াল, ছাষন-ছাষনীরা আজো অদ্ভূত ফিসফিসে কথা বলে অমল দেওয়ালে ...


যা উড়ে ...

নরম খৈ, বিকেলের রোddউর খোলাচুল বইখাতা, তীব্র লেহনে মিশে যাক গন্ধর্ব কবিতাগুচ্ছ, তীব্র দহনে জাগো প্রবজ্জা শাষককুল, পুকুরপাড়ে অচেতনে লাল কলাফুলটি, দহন, দহন, দহন দাসত্বে উড়ে যাও উপসর্গগুলি, অক্ষরভিক্ষা সমাপণে এসো শীত এসো, প্রবল প্রবল বেগে উড়ে যাও বুদবুদ ফেনা, ফেলে যাও নীড়, শীত, সাপের খোলস ...

যন্ত্রনার দিনে...


সাপ হয়ে থাকো, গুটিসুটি মেরে, অন্বেষণ অন্বেষণহেতু নাগরদোলা ভোর, করতলে নিয়ে এসো মুক্ত চীনেবাদাম, ঘোর ভোর ঘোরতর যন্ত্রনার সময় এখন, নুব্জপ্রায় দিন, নুব্জ আমলকী গাছটি, ছিন্নভিন্ন শীতলপাটি, উষ্ঞ কম্বল, নবান্নের সময় হয়ে এলো,শব্দ পাও, যন্ত্রনারা প্রবল ...


যন্ত্রনার রাতে ...


রাত বলে কিছু নেই, শব্দ ডুবে যাওয়া জাহাজ এখন, ঘড়ির প্রবল শব্দে, ছুটে যাওয়া উখঞ ইনি, যেভাবে ছড়ানো মেঘগুলি,রাতের আতর, শব্দে শব্দে ফোনে ফোনে কেটে যাওয়া প্রহর, রাস্তার ধুলো ও বালি, ভাঙা ডিম সাদা খোলা, পড়ে থাকা চুনগোলা, বালি বালির সয়ে যাওয়া চরাচর ও স্মৃতি, কাতর, জেগে থাকো, প্রহর ও প্রবন্ধময় স্বাদগন্ধহীন তীব্রতর বেগে ছুঁয়ে যাও ধুমকেতু, রেলিংএ ও যন্ত্রনার ছাদে ...

... এইখানে শেষ হোক, আম্রপালীসভা শেষ হও যন্ত্রনা ও ফসিল সময়৷

সুমেরু

প্রিয় পাঠিকা 0.01


প্রিয় পাঠিকা,


সক্কাল সক্কাল তোমায় গপ্পোটা বলতে চাইলাম, শুনলে না, সেটা রাগে-দু:খে-শোকে ভেঙ্গে তিন টুকরো হয়ে গেল...



প্রথম টুকরো
------
বেশ পুরনো,যেমন তেমন, কাটা ছেঁড়া যেমন থাকে, থাকুক, কোন রমনী কন্ঠও নেই যে ,বাবা মুস্তাফা, বলে ডেকে উঠবে, সুতরঁআ...


ক্ষং৷ বেল পাহাড়ি, লালগড় পেরিয়ে, তুলসির জিপসিতে, বুদ্ধবাবু এমনটাই প্রবাদে পরিনত করবেন ঠিক দুই বছর পর, যার চাকা খুলে গেলেও ঠিক এসে জুড়ে যায়, গায়ষনী না জপলেও, মকর সংষন²আন্তির সুর্য পোচের মত গলে যাচ্ছে, ফ্যাট ফ্যাটে সাদা আকাশে, আমাদের চোখ ও মন সাদা দীর্ঘক্ষণ যাবত্, অপ্রতুল হাঁড়িয়ায় আমরা শিলাজিত্, নদী যদি মদ হত...একমাষন তুলসি সিটবেল্ট হয়ে বসে, নদীর জলে উল্কী আঁকছে শেষ রৌদ্রচ্ছটা, ঝপা ংটুসু পড়ল জলে, বৃন্দ গানে সমবেত ভাবে ফিরে যাওয়া পাহাড় ডিঙিয়ে, পার হয়ে যায় গরু পার হয় গাড়ি, সুতরা ং তুলসিও...


পাহার টপকেই চিত্তির,এত মানুষ, দলে ভেঙে ভেঙে নাচ আর গান, জীবনের প্রথম ঘোড়া নাচ, কোমরে ঝোলে বাঁশের স্ট্রাকচার, আলতা মাখা ঠোঁট, লাল কমলা বেগুনী সব ব্লাউজ নিচে পরিপাটি কর্মঠ পুরুষদেহের হুঙ্কার...


সানঝা দেওয়া বৌ গ তরা সনঝা কেন নাই দেও গ৷
কুমহার শালায় পźঈপ দেয় নাই কিসে সনঝা দিব গ৷৷
সানঝা দেওয়া বৌ গ তরা সনঝা কেন নাই দেও গ৷
খট্টা শালায় কাপড় দেয় নাই কিসে সনঝা দিব গ৷৷
সানঝা দেওয়া বৌ গ তরা সনঝা কেন নাই দেও গ৷
কুলহ শালায় তেল দেয় নাই কিসে সনঝা দিব গ৷৷
তেল দিলম সলতা দিলম সগ্গে দিলম বাতি গ৷
যত দেবতায় সনঝা লেয় মা ঘরের কূলবতী গ৷৷


পাহাড়ে সন্ধ্যা হয়, যেমন রোজ, শব্দ ষন²মশ উথল পাতাল, মাথা ঘোরে, না কি কাঠি? শরীর চামড়া হয়ে যাওয়া ঢাক গর্জে গর্জে ওঠে, নেশায় পা টলে না মাথা, বুঝে ওঠার আগেই ইউক্লিড ভেঙে তছনছ, সে হয়ে গেছে দুরুহ জটিল, জিলাপী ও কাঠি ভাজা, যেমত ফ্রিসবি ও ফ্লায়ি ংডিস্ক, নাচ গোল গোল ঘুরে ঘুরে, চাঁদের আলোয় ধুইয়ে দিচ্ছে এযাবত্ জমা হওয়া সহস্র আঁধার ও পাহাড়, কান্না পায় জানো? ভীষণ কান্না পায়...


তারকোভস্কি এমনটাই এলিমেন্টাল হয়ে থাকবেন, জলের পরে সাজিয়ে দেবেন আগুন, অগ্নিবলয় ঘিরে ধরবে আমাদের, দুর সব পাহাড়েও লেগেছে আগুন ও নাচ৷ চাঁদের আলোয় ছোট্ট টুসু হয়ে উঠছে যুবতী সরস্বতী, ও তো সরস্বতী প্রতিমাই! তবে কি অ্যাড়ব্যাড় করছি? আশে পাশেই দেখছি আরো কতগুলো সরস্বতী প্রতিমা মাথায় নিয়ে ঘুরে ঘুরে চলা৷ তীব্র আলতা ও দগ্ধ হলুদে সেজে উঠছে মিষ্টান্ন বা চিনি-চিনি কিটকিট ডেলা৷ গা গুলিয়ে ওঠে, জল? চোখে পড়েছে মরা বিড়াল, মরা খরগোশ, মরা পায়রা মাথায় তুলে নাচ, সংজ্ঞাহীন৷ নদী ডাকে, আয় আয়, চাঁদ ভাসে, ভাত ফোটা গন্ধে উন্মনা হয়ে ওঠে মন, জঙ্গল পিছু হটে ষন²মশ চলে যাচ্ছে দূরে দূরান্তরে...

তবেই না বীরপুরুষ, টুসু আসে টুসু যায়,আমার টুসু ধনে বিদায় দিব কেমনে, পাহাড় কাঁপানো নাচ, বুকের দুন্দভী কাঁপে থরথর, তবু ভীষণ শীত করে, বড় বড় চোঙার মত মাইকের মধ্যে লুকিয়ে ফেলি নিজেকে, ছুটে চলা ট্রেন ভোর কুয়াশা ভেঙে পুরুলিয়া এক্সপ্রেস৷



দ্বিতীয় টুকরো
-------
হায়ঙ্গবিচ আলোয়, সোনার গা, ঁযাকে কাঠিভাজা বলি তাই যেন আলপনা হয়ে ফুটে আছে মাটির দেওয়ালে, ফুটি ফুটি ভাব, আলো তো ফুটে গেছে ঢের সকালে, ফুটে যাও কুন্ডলী, কবচ ও ধোঁয়া৷ শহর মৃত এখন জোনাকি সজ্জায়, যেভাবে বেঁচে থাকে দুরের পাহাড় রাষিন নিশীথ হলে৷ ঠান্ডায় তালুগুলি ঘাসহীন মাঠ, পথঘাট, ব্যপৃত এখন, উল্লাসে উন্মুখ, বাঁকে বাঁধা কলসীতে তাড়ি চলে আসে, তাড়াতাড়ি, আয়রে আয়, আয়রে আয়৷ বম্বে রোড দিল্লি রোড দুর্গাপুর এক্সপ্রেস হয়ে ষন²মশ হারিয়ে যাচ্ছে ঘন কুয়াশার আড়ালে৷ আমি যে রাস্তা ধরে লুধিয়ানার দিকে যাই, জয়পুরে, যেদিন ময়ূর দেখতে ভারি ইচ্ছে করে, এই শীত জানুয়ারী মাসে, অখন্ড ভারতের মানচিষন আঁকা হবে সরোজিনী হাসপাতালের বাইরের দিকে, ঢুকতে বেরোতে জামা মসজিদে সেই মানচিষন দেখব আর ভাবব বুড়ো মানুষটার কথা, বিশাল বড় গামলায় গোলাপ জলের সমুźউর, রঙিন হওয়া বরফেরা মাথা উঁচিয়ে জেগে হিমবাহের মত, ইতস্তত ভেসে বেড়ায় বেহুলার ভেলা, গোলাপের পাপড়িরা, থেমে থেমেই চেঁচিয়ে ওঠে বুড়ো,দো দো কাশ্মীর কাশ্মীর দো রুপইয়া দো রুপইয়া...


চারটে চাঁদ চাঁদ্নী চকের মাথায়৷ তবে কি রাস্তা ভুল করছি আমরা? প্রতি গলির শেষে একটা করে চাঁদ থাকে কেন? জানালা ও খড়খড়ির ওপাশে চাঁদমুখ৷ আলো চমকায়, ঘুরে ঘুরে নাচে, সামনের কাঁচে সিডি ঝুলছে, আলো নাচছে, অর্থাত্ আশায় আশায় বসে আছি ... আরো একটা শীত, ওরে আমার মন, টোলে এসে দাড়ায় গাড়ি, আঁকিবুকি আলো, সিগনালে কমে যায় দ্রুত 58,57,56,55,54...
আরে বাবা ফেরে তো প্রত্যেক মানুষই ঘরে, শীত ও গৃষ্মের রাতে, গোলাপ বা রজনীগন্ধা হাতে, আর কি ই বা দিতে পারি আমি? শীতের উপহার৷ রাস্তায় বিগলিত জেব্রা, মনিটর জুড়ে, ঝাঁকানো টর্চ, কোহিনুর মণি৷ ততক্ষনে আমি ভিজে ম ম, এটা তো তার জানবার কথাও নয়, এই দুর প্রবাসে, পায়রার ঠোঁটে উড়ে যাওয়া চিরকুট, কে তাকে বলেছিল গোকুল পিঠের কথা, গোকুলে বাড়িছে সে, crowমশ রজনীগন্ধা ঝরে, টেলিফোনটি করে বসলাম আমি, এইটুকুতেই বুঝি থেকে যায় R্ণ ও আলোকসজ্জা৷
রাষিন যেন পায়েস পাতা, ঝলমলাচ্ছে ইউক্যালিপ্টাস গুচ্ছ, ভিক্স ভিক্স গন্ধ,অচেতন হয়ে পড়ার উত্কৃষ্ট সময় এখন, দু-চারটে পোষা ইবলিস , শীতের রোźউর যেন খেলা করে সারা পিঠ জুড়ে৷ বাইশ গজ, তাক থেকে হুড়মুড়িয়ে পড়ে যাবে সব বই, ক্যাসেটের স্বর ষন²মশ ফিসফিসিয়ে উঠবে, লাল সদা পিচবোর্ড রঙে ই ঈ উ ঊ, জবুথবু, আয় মারি ঢিল খেলা যখন, একটুকরো কাঁচে, ভেঙে যাচ্ছে ক্ষণ, ঝনঝন শব্দে৷




তৃতীয় টুকরো
-------
ছোটাছুটি৷ আইকম বাইকম৷ সুতরা ংবাইসাইকেল৷ মাইলস, আচ্ছা বেষ্ট অফ মাইলস৷ আর কে? আর কে? রামকৃষ্ঞ নন৷ শুক্লা পঞ্চমী, এন্ডি গেন্ডি, হলুদ হলুদ,ব্যাসবাক্য সমাস, ওরে বদমাশ, ভেন্ডি ভেন্ডি৷ বাবুলাল, কেয়া হো রাহা হ্যায়? লালবাবু, গোলবাবু, চৌকোবাবু, ধরবাবু, করবাবু ইছঔ?ঐ ঐ, এই এই, লুকাও সিগারেট, দে ছুট৷৷৷

এখনও স্কুল মানে শুধু এই দিনটাই, কালের নিয়মে ছোট্ট দেশলাই বাক্স হয়ে যাওয়া ক্লাসরুম, পেন্সিলের মত সরু হয়ে যাওয়া বেঞ্চ, হা হাতস্মি, এখানেই কি লেগে আছে দু:খ সুখের বছরগুলি, কৃষ্ঞচুড়া ফুলের কুঁড়ি ভেঙে ঘুড়ি ঘুড়ি প্যাচ, মুকুট খুলে পড়ে গেছে কবে, ঘ্যাচঘ্যাচ, কেটে গোল্লা বসিয়ে দিচ্ছে আজন্ম রাগে জমে থাকা লালকালি৷ টিচার্স রুম ভেঙে টুকরো টুকরো এখন, ছবিগুলি উড়ে বেড়ায় যেন মায়া, প্রজাপতি আছ কেবল এই পাথর জুড়ে, অন্তত তাদের সাথে দেখা তো হয়, কুশল বিনিময় আর, আর? ডাবি ংও রি-রেকর্ডি৷৷৷

ংবেগম পেট, হায়দ্রাবাদ, হিন্দুর অফিসে বসে আমি আর অরুণাংশু প্রলাপ করে যাব এরকমই সরস্বতী পুজোর দিনে, যোসেফ বয়েজের মত খিচুড়ি গামলায় নেড়ে চলা, অবিরত, বোঁদের গামলায় পাওয়া চুলের কাঁটা থাকবেনা, কিছু নেই৷ প্রতি বছর নতুন স্মৃতি, নতুন রোমন্থন...


বয়ে যাও গঙ্গা, মোর ধমনী হয়ে, আমার স্কুলবাড়ি যেন পাতালগুহায় এক, জমে ওঠা খবরের কাগজ সমুহ, আজ ঠোঙা বানাও, চীনে জাপানে ও চিনেবাদামের৷ কুয়াশা পড়েনা এইখানে, মাছরাঙা করেনা সে ভুল, উড়ে যায় ধবল বক, ইউক্লীড মেনে, সুতরা ংবইয়ের অক্ষরগুলি, দুধসাদা৷ ভয়ংকর শব্দ নিয়ে উড়ে যাচ্ছে শোলার কুচিগুলি, রাষিন মোর প্রিয়তমা, কল্কায় সজ্জায়, গড়ে উঠছে ইমারত, সাদা শাড়ি ঢেকে দিচ্ছে সরস্বতীর যুবতী শরীর, আমার যৌবন দিন স্কুলে স্কুলে, শুক্লে শুক্লে, ঘুরে চলে, তেমন আঙুল ঘোরে, ছিদ্র থেকে ছিদ্রে, যেমন চৌরাশিয়ার বাঁশী, বাজুক৷ প্রহর শেষে, চৈষন মাসে, লাজুক৷ আমের মুকুল, গন্ধে ব্যাকুল, দুলুক৷ ফাটা মাটি, ঢাকে কাঠি, থাকুক৷ সজনে গাছে, ষিনকোণ নাচে, নাচুক৷৷


সুমেরু