Sunday, August 15, 2010

বাসন্তি গায়ন্তি বিষমা হৈ

বাসন্তি শাড়ির ঢল, আর আমার এখন বড় জেমস পাচ্ছে, আর ওইদিকে স্কুলগুলি হতে ত্রস্ত সাইকেলে বান্টিরা আলতা ভেজানো গন্ধ উড়িয়ে দিয়ে তাজমহলের দিকে চলে যাচ্ছে। আর আমার মাথায় এখন সেন্ট পলসের সেই চালচিত্র সম বিশাল গাছ, নীচে ঠিক হংসধ্বনী, মেঘে ঢাকার মত। প্রবল বৃষ্টির মধ্যে মেহেরপুর জোড়া রাজহাঁসের দল মেঘ ভেঙ্গে নেমে আসার অলীক সাইকেলে, ছোট ছোট করে ক্রিং ক্রিং মন্ত্রে একটা গান বেঁধে ফেলছে।

আমি একটি ব্রীজের মত গঙ্গার ওপরে ঝুলে আছি। যেখানে সাইকেল যায় না। বান্টি বাসন্তি ও জেমস নাই, কেবল ঠান্ডা মুগুর ছাপ, ক্যাকোফোনে শ্যামাসঙ্গীত, গাড়ির হুস-হাসে একটি প্রতীয়মান শহর, রোদ, জং; আমার এখন কিছু লেখাই উচিত নয়, আর।

Sunday, February 08, 2009

অগত্যা ঘামগন্ধ আর ধাতুতক্ষণ

আজ কাজকর্ম ঘেঁটে গিয়ে কিছুটা সময় পেয়ে এদিক-ওদিক পড়ছিলাম৷
অগত্যা৷
মজা পাচ্ছি৷
কিছু মাথায় আসছে৷

১) রেলের কামরায় শশা , ঘামগন্ধ আর দুলুনিতে জুড়ে আসা চোখের পাতার ভেতর শশাসব গোল পেয়ারা হয়ে যাচ্ছে৷ সামনে এক বালিকা, হাতমুঠোতে কিছু খুচরো পয়সা৷ আলো ঠিকরে চোখ পর্যন্ত এলে,তা যেন একশিশি কুমকুম, খুলতে গিয়ে বুড়ো আঙ্গুলে গোলা চামড়া দাগ, তাও দেখা যায়৷ আসলে সেই রকম দাগ আরো আছে, যারা পেয়ারার ঝাঁকা থেকে লেবু তুলেছিল, মুসাম্বির উপরেও তাই বর্ষ প্রাচীন সিকি ছাপ৷

২) কমলা পাহাড়ে ঘাসেরা পুড়ছে৷ কালিপটকার মত বেঁধে রাখা গুচ্ছ গুচ্ছ ঘাস৷ রেললাইনের মত করে তারা পুড়ছে সমবেত৷ হাওয়ায় উড়ে আসা প্লাস্টিক ঘুঘুর ডাক ডাকতে ডাকতে পেরিয়ে যাচ্ছে রেল লাইনের মত দাগটানা অক্ষাংশ দ্রাঘিমাংশ৷

৩) সার সার ভজালির কালেকশান৷ আই পি অ্যাড্রেসের মত লেখা সোনার দোকানের ধাতুতক্ষণ৷ কিছুক্ষণ পর বোঝা যায় মানুষ না থাকলেও এগুলি সব রিমোট তাড়িত৷ জ্যামিতিক নড়ন চড়ন৷ ফটোশপে দুটো ফিল্টার মারতেই সেটা ঐশ্বর্য রাই বচ্চন৷ আর সূর্যের কাছে নিয়ে গেলেও সে গলে না, বরং বরফের মত হয়ে গেল তার শরীর, এখন ঠিক সেন্টের শিশির মত দেখাচ্ছে৷

Saturday, February 02, 2008

রঙের গান আর গাই না

বাউল আব্দুল করিম বলে, রঙের গান আর গাইনা।গাই না। গাই না। মাথা ঝাঁকাই। বেনারসের গলির মত চুল সব বাড়ি ঘর নিয়ে , কয়েকটা শহর, মেঘের বিদ্যুত মেঘেই যেমন, ষষ্টি বাউলার জামা দেখি, তাপ্পি তাপ্পি গল্প।



ঝাঁকড়া গাছে কাকাতুয়া বসে আছে, সকাল থেকেই। মোকাম নৌকা বায়। পবন আর সত্যেনদাস মিক্সের দিকে। পরজনমে রাধা হয়ো তুমি প্রিয়া। বিরহ বসে আছে মোড়ায়, সিলেটের কোন পাহাড়ে। আমলকি রঙের শাড়িতে মেরুন পাড় শিশিরে ভিজে যম কালো। শুয়ে পড়া ঘাসে সব গল্প।
আমরা সকাল থেকে গান শুনছি। বাইরে বৃষ্টি। ম্লান জানালা, ঘোলা ঘোলা, গাছে আর সবুজ নেই। সন্দীপনের গলাও ভেসে আসছে। গাই না গাই না। বিদিতলালের, সেই একসাথে সুয়া উড়িল। কাজ বাকী, গান শুধু কিলবিল করছে নদীনালা জুড়ে পাকাল মাছের মত।



আমরা বৃষ্টি হই, কখনও বা নদী নালাদূরে ব্রীজ বরাবর বাসেরা চলে যায়বেহালার ছড়ের মত সব ট্রাকসব মুছে ব্ল্যাকবোর্ড জেগে ওঠে ফ্ল্যাট বাড়ি জুড়ে, আঁধারে সবুজ হিংচা পাতার নকশা আমরা দেখি আর শুনি সারাটা সকালঐ কালমেঘ নদী আর রাঙাচিতা পাহাড়