কাগজ ভাঁজ হল, নৌকায় এরোপ্লেনে। মোবাইল ফোনগুলি কিছু ওয়াচটাওয়ারের মত সেনানীহানার কথা বলে গেল সীমান্ত বরাবর। ধানের শীষে চিরে গেল মাড়ি, গোলাপ জলে তরুন কিশোর। ভিজে গেল ঘুড়ির আঁচল। তখন সকাল ছিল ,ঘাসে ঘাসে। সন্ধের বোতল পড়ে ছিল মৃত ভিজে খড়ে, ভাঙা ঘন লাল চুড়ি , তাই ঠিক বোঝা গেল না রক্তের দাগ। তাই মুখবন্ধহীণ বোতলে ভরা সন্ধ্যাবন্ধুরা মিশে গেল মাটিতে। হায় হায় মাটি।
ডাবল লাইনারে আঁকা ঠোঁট। ডেস্কটপে হাসি, গণিতের উপাখ্যানমালা জবাফুল হয়ে এল গাছে গাছে এবং সানিয়া মির্জার মত সবকিছু গোলগোল। আকাশ লাল। সন্ধ্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার অপূর্ব সময়। এক গোল টেবিল ঘিরে আমার বন্ধুরা অনেক কথা বলল জোনাকির মত। নড়ে উঠল কচুপাতার ভাঁজ হওয়া কোণ, অভূতপূর্ব সুপুরি। মেঝে জুড়ে অঙ্কুর বেরনো ছোলা, মটর ও ডিমেরা, নিচে উপরে দুইদিকেই আকাশ দেখা যায়। সন্ধ্যাবন্ধুদের পাল্লায়। হায় চোখ, কিছুতেই ইলাস্টিক হয় না। হয় না।
ধর একটা মোমবাতি ও কলাপাতা, নড়ছে। রাত বাড়ছে। টিকটিকি অনেক দূরে, স্রেফ মোরোগের ঝুঁটির মত। এখন রাত, অনেক রাত। কুকুরেরা সব যক্ষা হাসপাতলের বারান্দায় শুয়ে। লেখালিখি শেষ হয়ে গেছে বলে শুয়ে আছে , বা পাড়া থেকে বিতাড়িত অদৃশ্য জোনাকির মত। অক্ষরেরা নেমে আসেনি ফ্রেম বরাবর। সে শুধু ছবি, আর তার কলঙ্ক দোয়াত শুকিয়ে রাত ভোর হচ্ছে ধিরে ধিরে। স্যালাইন স্লো।
No comments:
Post a Comment