যদি নাই থাকো, নাই থাকো আকাশে ঘুড়িটি আর জলদগম্ভীর মেঘ, উমার কথাই বলি বা কেমনে! শিহরন অহরহ, হলুদে ভেসে যায় ঝিঙাফুল মাচা, বিন্দু বিন্দু সাদা গুলি বড় হওয়ার প্রবল চেস্টায় রত, কবেই আর মেঘ হবে তারা, ফিকে রঙের স্যালাইনের বোতলটির কথাও মনে রেখ, ক্যালেন্ডারের পাতা ক্রমশ বিবর্ণ হলে, ক্রমশ নতুন নায়িকার সঙ্গে, পার হয়ে যায় গরু পার হয় গাড়ি।
Saturday, June 17, 2006
প্রিয় পাঠিকা 0.02
প্রিয় পাঠিকা,
এখনও মাথার ভেতর তীব্র চিত্কার...
জু জু জুম জুম জুম...
... এই ভাবে তীব্র মাথা ব্যথা, যেন প্রতি বৃক্ষমূলে, কিছু যকৃত্ ও অলিন্দ-নিলয় সমূহ,জেগে ওঠ তোপধ্বনী, অখন্ড চরাচর,বাহুমূল টেনে ধরুণ শোকবিহ্বল লতা, মূষনাশয় সর্বদা অলীক ফোয়ারা, কোন সে মহান শিল্পী, শেষ মালগাড়ি তার জরাকীর্ণ দেহ টেনে টেনে টেনে চলে গেলে কুয়াশা তিমিরে, জেগে ওঠো, আরঙ্গজেব , মাথা তুলে দাঁড়াও পার্থেনিয়াম সেনানীগুচ্ছ, তীব্র যন্ত্রণা সহ...
ঐ দূরে বড়ফ পাহাড় রামধনু, গোড়ালি উঁচিয়ে পড় পরীক্ষার ফল, এই ঘাস ঢেকে যাবে সান্তরার কোমল আলোয়,ন্যাশনাল জিয়োগ্রাফিকে ছাপা হবে, তাই যাদি প্রজাপতি হয়ে ওঠো সমস্ত উপত্যকা, পুকুরের তলা থেকে কুড়িয়ে আনা কেশরগুচ্ছ বেটে নাও,কলাপাতা মৃদু-মৃদু দোলে, আলফ্রেড হিচকক টুপি করে নিয়ে আসে একঝাঁক গঙ্গাফড়ি ...
... ংমজায় মজায় বেড়ে উঠছেন রবার্ট বেল, তার দস্তানা জুড়ে কিউব, সুবর্ণগোলক, ইলিপসয়েড, শীতের মেলার মাঠ সাবানের ফেনাগুলো অর্ধমৃত, কুঁয়াশা কুঁয়াশায় আলতো ঠোঁটে ঘুম পাড়িয়ে দিচ্ছে চাঁদ ও সউদাগর, কলম খুললেই ঘন দারুচিনি জঙ্গল,নিশীথ রাষিন কেবল তোমাকে বলবে যন্ত্রনার কথা, থেমে থাকো পাখাগুলি, রেগুলেটারের কোন ব্যবস্থা নেই, অন্তত এই শীতল প্রবাহে, শিক্ষা শিক্ষা শেষে যখন সম্বল কতিপয় গ্রীটিংস কার্ড, চুপসে যাওয়া স্কেচপেন কালি, তেলচিটে হয়ে যায় কেবল দেওয়াল, ছাষন-ছাষনীরা আজো অদ্ভূত ফিসফিসে কথা বলে অমল দেওয়ালে ...
যা উড়ে ...
নরম খৈ, বিকেলের রোddউর খোলাচুল বইখাতা, তীব্র লেহনে মিশে যাক গন্ধর্ব কবিতাগুচ্ছ, তীব্র দহনে জাগো প্রবজ্জা শাষককুল, পুকুরপাড়ে অচেতনে লাল কলাফুলটি, দহন, দহন, দহন দাসত্বে উড়ে যাও উপসর্গগুলি, অক্ষরভিক্ষা সমাপণে এসো শীত এসো, প্রবল প্রবল বেগে উড়ে যাও বুদবুদ ফেনা, ফেলে যাও নীড়, শীত, সাপের খোলস ...
যন্ত্রনার দিনে...
সাপ হয়ে থাকো, গুটিসুটি মেরে, অন্বেষণ অন্বেষণহেতু নাগরদোলা ভোর, করতলে নিয়ে এসো মুক্ত চীনেবাদাম, ঘোর ভোর ঘোরতর যন্ত্রনার সময় এখন, নুব্জপ্রায় দিন, নুব্জ আমলকী গাছটি, ছিন্নভিন্ন শীতলপাটি, উষ্ঞ কম্বল, নবান্নের সময় হয়ে এলো,শব্দ পাও, যন্ত্রনারা প্রবল ...
যন্ত্রনার রাতে ...
রাত বলে কিছু নেই, শব্দ ডুবে যাওয়া জাহাজ এখন, ঘড়ির প্রবল শব্দে, ছুটে যাওয়া উখঞ ইনি, যেভাবে ছড়ানো মেঘগুলি,রাতের আতর, শব্দে শব্দে ফোনে ফোনে কেটে যাওয়া প্রহর, রাস্তার ধুলো ও বালি, ভাঙা ডিম সাদা খোলা, পড়ে থাকা চুনগোলা, বালি বালির সয়ে যাওয়া চরাচর ও স্মৃতি, কাতর, জেগে থাকো, প্রহর ও প্রবন্ধময় স্বাদগন্ধহীন তীব্রতর বেগে ছুঁয়ে যাও ধুমকেতু, রেলিংএ ও যন্ত্রনার ছাদে ...
... এইখানে শেষ হোক, আম্রপালীসভা শেষ হও যন্ত্রনা ও ফসিল সময়৷
সুমেরু
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment